‘পদ্মায় রক্ত লাগবে’ তাই গলাকাটা আতঙ্ক!

পদ্মায় রক্ত লাগবে- রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা বিভিন্ন মসজিদের মাইকের ঘোষণা দেয়া হচ্ছে গলাকাটা ঢুকেছে, সাবধান হোন। আর এতেই মানুষের মধ্যে চরম ভয়াবহ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কিছু কিছু স্থানে হত্যা আতঙ্কে এলাকাবাসী রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেছে। এ পরিস্থিতিতে একটি কুচক্রী মহল গুজব ছাড়াচ্ছে পদ্মা সেতুর জন্য রক্ত লাগবে বলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে গুজবের দ্রুত ডাল-পালা গজিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।

জানা গেছে, পাশ্ববর্তী রাজবাড়ী সদর উপজেলায় গত আগস্ট মাসে অল্প সময়ের ব্যবধানে একই কায়দায় তিন নারী ও এক শিশুকে গলাকেটে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ সকল ঘটনায় সারা জেলার মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি থানার এস. আই হাবিবুর রহমান জানান, ‘এ সব গুজবে কান না দিতে ইতোমধ্যে জনগণকে সচেতন করতে কাজ করা হচ্ছে। কোন স্বার্থান্বেষী মহল এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্টের অপচেষ্টা করে থাকতে পাড়ে।’

তিনি এসব গুজবে কান না দেয়ার পরামর্শ দিয়ে জনসাধারনের প্রতি গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করে পুলিশে সোপর্দ করার আহবান জানান।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের মানিক মল্লিকের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪০) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাইরে গেলে এমন সময় চিৎকার শুনতে পায়।

এরপরই শোর চিৎকার শুরু হয়। মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয় স্বশন্ত্র গলাকাটা গ্রুপ ঢুকেছে। এই ঘোষণার পর আতঙ্কিত এলাকাবাসী বাইরে বেরিয়ে আসে।

গৃহবধূ জানান, তার পিছন থেকে কেউ মাথায় হাত দেওয়াসহ গলায় ছুরি ধরার পর সে পড়ে যায়। এরপর কি হয়েছে সে কিছু বলতে পারে না। তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল হোসেন জানান, চিৎকার চেচামেচি করার পর মসজিদের মাইকে এ গুজব প্রচার করা হয়। তবে সবাইকে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সচেতন করা হচ্ছে। এ গুজব শুনে শিশু ও মহিলারা আতঙ্কিত হচ্ছে।

নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম জানান, রাতে এলাকার মসজিদে ঘোষণা করা হয় গলাকাটা ঢুকেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়।

তবে এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ইউপি সদস্যদের ডেকে দ্রুত গুজব সম্পর্কে প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষকে সচেতন করা হবে।

গাজীপুরে প্রাইভেটকারে আগুন, রাস্তা বন্ধ

গাজীপুরে একটি প্রাইভেটকারে অাগুন লাগার ঘটনায় প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাজীপুরের মাস্টারবাড়ি এলাকায় ওই প্রাইভেটকারটিতে আগুন লেগেছ বলে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহতে ঘটনা ঘটেনি।

গাজীপুরে প্রাইভেটকারে আগুন, রাস্তা বন্ধ

আজ শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাকির হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। এসময় প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

আগুনে পুরো প্রাইভেটকারটি পুড়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রাইভেটকারটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাস্টারবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে সেটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এক পর্যায়ে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। আগুনে পুরো প্রাইভেটকারটি পুড়ে গেছে।

মাঝ রাতে সড়কে ঝরে গেল ৫ প্রাণ

ট্রাক্টরের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত ও কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন রাইচমিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মাঝ রাতে সড়কে ঝরে গেল ৫ প্রাণ

পলাশবাড়ী থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘অনাবিল পরিবহন’ নামে একটি যাত্রীবাহী বাস দ্রুত গতিতে এসে ওই এলাকায় থেমে থাকা একটি ট্রাক্টরকে ধাক্কা দিয়ে সড়কের পাশে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চার বাসযাত্রী নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর ৮ বছরের একটি শিশু মারা যায়।

তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। বাস ও ট্রাক্টরের চালক ও হেলপাররা পালিয়ে গেছে।

চলনবিলে নৌকা ডুবে নিখোঁজ ৪

আনন্দভ্রমণে ঈশ্বরদী থেকে চলনবিলে গিয়ে নৌকাডুবিতে ৪ জন নিখোঁজ হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় চলনবিলের পাইকপাড়া এলাকায় এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজরা হলেন ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কলাম লেখক মোশাররফ হোসেন মুসার স্ত্রী শাহানাজ পারভিন (৪৫), ঈশ্বরদীস্থ ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক সহকারী বেলাল হোসেন গণি (৫৫), তার স্ত্রী শিউলি খাতুন (৩৮) এবং ঈশ্বরদীর অরণকোলা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে কাউছার শেখ (৪২)।

নৌকা ডুবির পর আহতদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত মোশাররফর হোসেন মুসা জানান, ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়া থেকে সঙ্গীত শিল্পী, বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ীসহ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ২৪ জন ছুটির দিনে একটি নৌকায় চড়ে চলনবিলে আনন্দভ্রমণে বের হন।

তারা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়াল ব্রিজ সংলগ্ন ভাঙ্গাড়া ঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় চড়ে চলনবিলের তাড়াশ, বড়াল ব্রিজসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।

তাদের বহনকারী নৌকাটি পাইকপাড়া নামক স্থানে এলে হঠাৎ শক্ত কিছু একটার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় নৌকার তলা ফুটো হয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকা যাত্রীদের আর্ত চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে।